January 16, 2025, 1:56 am

সংবাদ শিরোনাম
মধুপুরে জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের উদ্যোগে কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত বেনাপোলে বিজিপি বিএসএফ সেক্টর কমান্ডার পর্যায়ে সীমান্ত সম্মেলন অনুষ্ঠিত হারিয়ে যাওয়া মায়ের খোঁজে দিশেহারা সন্তানরা ভিসা জটিলতায় বেনাপোল বন্দরে পরিবহন ব্যাবসার ধ্বস তেজগাঁও থানা ছাত্রদলের শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচি সম্পন্ন শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি প্রজেক্টরে ভেসে উঠায় স্থানীয় জনতার প্রতিবাদ ঢাকায় দুই ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে জখম করলেন সন্ত্রাসীরা: বেনাপোলে ভারতীয় ভয়ঙ্কর ট্যাপেন্টাডোল জব্দ মধুপুর উপজেলা মেম্বার ফোরামের উদ্যোগে তিন শতাধিক কম্বল বিতরণ লামায়-আলীকদম অনুপ্রবেশকালে ৫৮ মিয়ানমার নাগরিকসহ ৫ দালাল আটক

দ্বৈব নির্দেশে সুন্দরীমালাকে কিনলেন লালমনিরহাটের দুলাল

মৃনাল কান্তি রায় সরকার, লালমনিরহাটঃঃ
ব্যক্তিগত উদ্যোগে হাতি কিনে পালন করার ঘটনা বিরল হলেও সেটি করেছেন লালমনিরহাট সদর উপজেলার পঞ্চগ্রাম ইউনিয়নের দেউপাড়া নিবাসী দুলাল চন্দ্র রায়।
বিভিন্ন ঘটনা ও এলাকাবাসীসূত্রে জানা যায়, দুলাল চন্দ্র রায়ের স্ত্রী তুলসী রানী খুবই ধর্মভীরু প্রকৃতির। বিয়ের পর তাদের দু’টি সন্তান জন্মানোর পর থেকেই তাঁর উপর বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দেব-দেবী ভর করা এবং বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেয়া শুরু করে। সেই দিকনির্দেশনা মোতাবেক তিনি বিভিন্ন রোগী বা সেবাগ্রহীতার সমস্যার সমাধান দিতেন। অনেকে দেব-দেবী প্রদত্ত পরামর্শে তুলসী রানীর দেয়া তথ্যে রোগমুক্তি বা বিভিন্ন সমস্যার সমাধানও পেতেন। দীর্ঘদিন যাবত এভাবে চলে আসছিলো। এখন দেব-দেবীর দৈব নির্দেশনা যে তাদেরকে বিভিন্ন প্রজাতির জন্তু কিনে বাড়িতে পালন করতে হবে। এই নির্দেশনা অনুসারে ইতিমধ্যে তিনি ঘোড়া, খঁড়গোশ, রাজহাঁস প্রভৃতি কিনে বাড়িতে পালন করছেন। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৪ই সেপ্টেম্বর খুলনা থেকে সুন্দরীমালা নামক হাতিটি ক্রয় করে নিয়ে আসেন দুলাল চন্দ্র রায়।
উক্ত এলাকার বাসিন্দা পলাশ চন্দ্র রায় দেবসিংহ বলেন, “মোটামুটি সব ধরনের দেব-দেবী’র স্থান ওনাদের বাড়িতে রয়েছে। আর বিভিন্ন সময় বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন এখানে এসে মানত ও পুঁজো করে যায়। অনেকের মনোবাসনা পূর্ণ হওয়ায় নিজ উদ্যোগে কয়েকটি  মন্দিরও বানিয়ে দিয়েছেন।”
হাতির মালিক দুলাল চন্দ্র রায় বলেন, “দীর্ঘ প্রায় ১০ বছর ধরে বিভিন্ন দেব-দেবী আমার স্ত্রীর উপর ভর করা শুরু করে। প্রথমদিকে আমি এগুলো বিশ্বাস করতাম না। কিন্তু একদিন ঘটনাচক্রে দেবীমূর্তির আবির্ভাব আমার স্ত্রীর মধ্যে দৃশ্যমান হওয়ায় আমি সেদিন থেকে বিশ্বাস করতে বাধ্য হয়েছি।”
তিনি আরও বলেন, ” ঠাকুরের নির্দেশ পালন করার জন্য আমার পৈতৃক সম্পত্তি বিক্রির ১৬ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা দিয়ে হাতিটি কিনে এনেছি।”
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী দুলাল চন্দ্র রায়ের বাড়িতে হাতি দেখার জন্য বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত দর্শনার্থীদের ভীড় লেগেই আছে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত দর্শনার্থীরা এসে হাতি দেখছেন।
Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর